এক নজরে দেখে নিন আর এর সাথে জেনে নিন :-
১. এই e-SHRAM কী ?
২. কীভাবে করবেন ই-শ্রম পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন ?
৩. এই e-SHRAM কার্ড থাকলে কী কী সুবিধা পাবেন ?
৪. কারা আবেদন করতে পারবেন ?
৫. কারা আবেদন করতে পারবেন না ?
৬. কেন্দ্রের e-SHRAM পোর্টালে নাম রেজিস্ট্রেশন করতে কোথায় যোগাযোগ করবেন ?
এই e-SHRAM কী ?
দেশে এই প্রথম এমন একটি ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে, যা শ্রমিকদেরকে সরাসরি সরকারের সঙ্গে যুক্ত করবে।
৩৮ কোটি অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য e-SHRAM পোর্টাল চালু হয়েছে।
ইতিমধ্যেই এর সুবিধা পেতে শ্রমিকদের নাম ও তথ্য নথিভুক্তের কাজ শুরু হয়েছে দেশে।
কেন্দ্রের তরফে জানান হয়েছে e-SHRAM card থাকলেই একাধিক সুবিধা পাবেন শ্রমিকরা।
এই e-portal এর মাধ্যমে নির্মাণকার্জের শ্রমিক, পরিযায়ী শ্রমিক, হকার, পরিচারক, নাপিত, ইলেট্রিশিয়ান, মোটর সারাইয়ের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক-সহ একাধিক অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষামূলক প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।
রেজিস্ট্রেশনের পরে, #শ্রমিকদের একটি #ইউনিভার্সালঅ্যাকাউন্টনম্বর (ইউএএন)-সহ একটি ই-শ্রম কার্ড দেওয়া হবে। যাতে তাঁরা যে কোনও সময় এই কার্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা স্কিমের সুবিধাগুলি অ্যাক্সেস করতে পারবে।*
এর মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে শ্রমিকদের ডেটাবেস তৈরি করা হবে।
কেন্দ্রের দাবি, এই পোর্টালকে কাজে লাগিয়ে প্রায় ৩৮ কোটি শ্রমিককে নানা সুবিধা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
ই-শ্রম পোর্টালে রেজিস্টার করে কার্ড বানিয়ে নিতে পারলে কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন স্কিমের সুযোগ-সুবিধাগুলি পাওয়া যাবে।
এবার জেনে নেওয়া যাক এই e-SHRAM কার্ড থাকলে কী কী সুবিধা পাবেন ?
এই পোর্টাল থেকে কী সুবিধা পাবেন শ্রমিকরা? (e-SHRAM Portal Benefits)
এই e-SHRAM Portal: e-SHRAM পোর্টালে নাম রেজিস্ট্রেশন করলেই মিলবে ২ লক্ষ টাকার বীমা ও একগুচ্ছ সুবিধা! দেখুন সেগুলি কী কী?
১. নতুন এই পোর্টালে নিজেদের নাম রেজিস্টার করে সুবিধা পেতে পারেন দিন মজুর, পরিযায়ী শ্রমিক, পরিচারিকা-পরিচারক ছাড়াও ফুটপাথের দোকানিরা। মূলত ৩৮ কোটি অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের ডেটাবেস তৈরি হবে এই পোর্টালের মাধ্যমে।
২. এই পোর্টালে রেজিস্টার করতে ১৪৪৩৪ টোল ফ্রি নম্বর দেওয়া হয়েছে শ্রমিকদের জন্য।
কোনও কারণে শ্রমিকরা নাম নথিভুক্ত করতে না পারলে এই নম্বরে পাওয়া যাবে সমাধান।
৩.নিজের আধার কার্ড নম্বর ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টসের ডিটেইলস দিয়ে এই পোর্টালে রেজিস্টার করতে পারেন শ্রমিকরা।এখানে নাম নথিভুক্ত করতে জন্মের তারিখ, মোবাইল নম্বর, শহর, গ্রাম বা সোশ্যাল ক্যাটিগরি জানাতে হবে।
৪.একবার এই পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করলে e-SHRAM card দেবে কর্তৃপক্ষ।
যেখানে নির্দিষ্ট ১২ সংখ্যা দেওয়া থাকবে কার্ডে। কেন্দ্রীয় সরকারের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে কাজে লাগবে এই কার্ড।
৫. কার্ডের Universal Account Number (UAN) সারা দেশে গ্রহণযোগ্য বলে গণ্য করা হবে।
৬. অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক, BOCW কর্মী, SHG সদস্য, ঘরের পরিচারক, ASHA কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, ফুটপাথের দোকানি, রিক্সা চালক, ইটভাটার শ্রমিক, খেত মজুর, মনরেগার কর্মী, মৎস্যজাবী ছাড়াও ছেটা দোকানিরা নিজেদের নাম এই পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন।
৭. প্রথম বছরে বিনামূল্যে 2 লক্ষ টাকার বীমা দেওয়া হবে। কোনও কারণে শ্রমিকের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।পাশাপাশি দুর্ঘটনায় ব্যক্তি বিকলাঙ্গ হয়ে গেলে সরকারের তরফে একই টাকা দেওয়া হবে।
তবে দুর্ঘটনায় ব্যক্তি আংশিক শারীরিকভাবে অক্ষম হলে ১ লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে।
কারা আবেদন করতে পারবেন ?
- শুধুমাত্র অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা আবেদনের যোগ্য।
- আবেদনকারী শ্রমিকের বয়স ১৬-৫৯ বছর হতে হবে।
- EPFO/ESI এর সদস্য/ সুবিধাভোগী হলে হবেনা।
- ইনকাম ট্যাক্স প্রদানকারী হলে হবেনা।
কীভাবে করবেন ই-শ্রম পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন ?
ই-শ্রম পোর্টালে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আপনার নিকটবর্তী কমন সার্ভিস সেন্টার বা তথ্য মিত্র কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন।
- এরপর আধার নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য ও মোবাইল নম্বর-সহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে রেজিস্টার করাতে হবে।
- রেজিস্ট্রশেনের ক্ষেত্রে আধার নম্বর, আধার লিঙ্কড অ্যাকটিভ মোবাইল নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস দিতে হবে পোর্টালে।
- রেজিস্ট্রশেনের জন্য আবেদনকারী শ্রমিকের বয়স ১৬-৫৯ বছর হতে হবে।
এর ঊর্ধ্বে কোনও ব্যক্তির নথিভুক্তিকরণ করা হবে না।
কেন্দ্রের e-SHRAM পোর্টালে নাম রেজিস্ট্রেশন করতে এখনই যোগাযোগ করুন আপনার কাছের তথ্যমিত্রকেন্দ্র বা CSC তে
No comments:
Post a Comment